৮০’র
দশকের শেষ কিংবা ৯০ দশকের মাঝামাঝি হবে। প্রতিমাসে তখন
‘বিচিত্রা’র সংখ্যা রাখা হতো বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে। অনেকেই পড়তেন সেই
ম্যাগাজিন। বিশেষ করে ঘরের গৃহিনীরা সারাদিনের সংসারের কাজ শেষে অবসর সময়ে
বসতেন বিচিত্রা নিয়ে। সেরকমই একটি বিচিত্রা সংখ্যায় একদিন প্রকাশিত
হলো এক গল্প। নাম “কপোট্রনিক ভালোবাসা”! যেমন অদ্ভুত নাম, তেমনি অদ্ভুত তার
বিষয়বস্তু। কি না কি এক রোবটের প্রেম কাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই শুনতে বেশ
হাস্যকর শোনাল। কিন্তু অবাক কান্ড! বাংলাদেশের তৎকালীন সেই মধ্যবিত্ত সমাজে
হঠাৎ করেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল সেই গল্প। সবার কাছে ভালো লেগেছে সেটা।
ব্যাস! লেখক পেলেন উৎসাহ! পরপর কয়েকটি বিচিত্রা সংখ্যায় আরো বের হলো
কয়েকটি গল্প!
এভাবেই লেখক লিখতে লিখতে একদিন বিদেশে গেলেন পড়াশোনার খাতিরে। তখন অন্যদিকে এদেশে বের হলো তাঁর প্রথম গ্রন্থ “কপোট্রনিক সুখ দুঃখ”!
আমি কথা বলছি এই সময়ের জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক, ড.
মুহম্মদ জাফর ইকবাল’কে নিয়ে! জাফর ইকবাল স্যার আমেরিকায় গিয়েও লেখা
থামাননি। নিয়মিতই লিখে গেছেন ও যাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী!
স্বাধীনতা
পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশী সাহিত্যে প্রথম সফল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা
সায়েন্স ফিকশন লেখেন হুমায়ুন আহমেদ (তোমাদের জন্য ভালোবাসা)! তবে বাংলা
সায়েন্স ফিকশন যার হাত ধরে হাইপার স্পিডে ছুটে গেছে, তিনি হচ্ছেন ড.
মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি তার প্রথম
সায়েন্স ফিকশন গল্প 'কপোট্রনিক সুখ দুঃখ' লিখেছেন। রোবটিক মস্তিষ্ক
'কপোট্রন'-এর প্রবক্তা তিনি। যে কপোট্রন ফিকশনের দেয়াল টপকে স্থান পেয়েছে
দেশের অনেক বিখ্যাত কবির কবিতাতেও। দেশজুড়ে তার সায়েন্স ফিকশনের রয়েছে
অগণিত ভক্ত। টুকুনজিল, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার, সায়রা
সায়েন্টিস্ট, জলমানব, ওমিক্রনিক রূপান্তর, ক্রোমিয়াম অরণ্য, নয় নয়
শূন্য তিন, যারা বায়োবোট ও পৃ তার জনপ্রিয় কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন।
0 Comments